রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন মেনে চলা প্রয়োজন কঠোর নিয়ম, তেমনই নিয়ম করে খেতে হবে ওষুধ। এর সঙ্গে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। শীতকালে নানা কারণে ডায়াবেটিস বাড়তে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত এই কয়টি খাবার খান। উপকার পাবেন।

আধুনিকতার দৌড়ে বদলেছে আমাদের জীবনযাত্রা । সারাটা দিন ব্যস্ততা। কাজের চাপে নিজের জন্য সময় নেই। প্রতিটি মুহূর্তে সকলে যেন দৌড়ে চলছে। সারাক্ষণ নয় কাজের চাপ, নয় মানসিক চাপ । এই সবের জন্য শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। ব্লাড প্রেসার , হার্টের রোগ , কোলেস্টেরল থেকে কিডনির সমস্যা- এই সবেই ভুগছেন অনেকে। এছাড়া, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন বহুজন। আজকাল ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুঁজলে শেষ করা মুশকিল। প্রতিটি পরিবারে একজন করে ডায়াবিটেস রোগী পাওয়া যায়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন মেনে চলা প্রয়োজন কঠোর নিয়ম, তেমনই নিয়ম করে খেতে হবে ওষুধ। এর সঙ্গে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। শীতকালে নানা কারণে ডায়াবেটিস বাড়তে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত এই কয়টি খাবার খান। উপকার পাবেন।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

>>সুগারের রোগীরা রোজ খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খেতে পারেন। এটা অ্যামিনো অ্যাসিড ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায়। মেথিতে অ্যান্টি ডায়াবেটিক গুণ আছে। ফলে, সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত মেথি ভেজানো জল খান। তা না হলে, খেলে পারেন মেথি চা। এতেও সমান উপকার পাবেন।

>>শীতের মরশুমে নিয়মিত গাজর খান। গাজরে কার্বোহাইড্রেট কম থাকায় রক্তে চিনির মাত্রা কমায়। ফলে সুস্থ থাকেন রোগীরা। নিয়ক করে গাজর খান। উপকার পাবেন।

>>খেতে পারেন পেয়ারা। ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে একটা করা ফল খাওয়ার নির্দেশ দেন ডাক্তরা। ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা। তাই এটা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। রোজ দুপুরে একটা করে পেয়ারা খান। এছাড়া, একটা করে মরশুমি ফল খান। এতেও উপকার পাবেন।

>>শীতে বাজার ভরে যায় সবজিতে। এই সময় পালং শাক পাওয়া যায়। সুগারের রোগীরা পালং শাক খেতে পারেন। পাল শাকে ফাইবার আছে। যা এই ধরনের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তবে, অধিক তেল-মশলা দিয়ে পালং শাক রান্না করতে তার কোনও উপকার নেই। তাই সঠিক রেসিপি বানান।

>>শীতের মরশুমে খেতে পারেন দারুচিনি চা বা দারুচিনি ভেজানো জল। দারুচিনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা স্ট্রেস কমায়। মানসিক চাপের জন্য ডায়াবেটিস বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে মানসিক চাপ কমান